Blogger Widgets

শনিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৩

=+-হ্যাকিং এর ইতিহাস-+=

=+- History Of Hacking-+= Gr33tz- Back Bone

☺☺☺ ১৯৬০ সালে এআইটি ল্যাবের কিছু ছাত্র একটি প্রোগ্রামের কিছু শটকার্ট বের করেন তারপর থেকে তখন তাদের কে হ্যাকার বলা হতো। এরপর ১৯৭০ সালে ১জন ড্রেপার টেলিফোন সিস্টেম হ্যাক করে বিনামূল্যে প্রচুর টেলিফোন করেন আরতখন থেকেই মুলত হ্যাকিং ব্যাপারটা জোরেশোরো শুরু হয় এই হ্যাকিংয়ের জন্য তাকে Captain Crunch নামে উপাধি দেয়া হয়েছিলো । Captain Crunch নামে খ্যাত জন ড্রেপার বেচারা হ্যাকিংয়ের দায়ে ওই বছরই গ্রেপ্তার হন । তবে হ্যাকিংয়ে উৎসাহ দেয়ার জন্য ১৯৮৩
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত Wargames মুভিটিকে অনেকেই দায়ী করেন । ১৯৮৩ সালে ৪১৪ নামে ছয়জন টিনএজ আমেরিকার বিভিন্ন প্রতিষ্টানের সিস্টেম অকেজো করে দেয় তবে তারা খুব তাড়াতাড়িই পুলিশের হাতে ধরা পডে এবং wargames মুভিটি দেখে তারা হ্যাকিং এর ব্যপারে উৎসাহিত হন বলেস্বীকার করেন। ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো প্রকাশ হয় হ্যাকারদের ম্যাগাজিন ২৬০০। ১৯৮৬ সালে University of California এর অধিকাংশ হিসেবে ভুল আসার পর তদন্ত করে দেখা যায় এটা হ্যাকার দের কাজ পরবর্তীতে University of California তে হ্যাকিং এর দায়ে ৫ জন জামার্নকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৮৬ সালে আমেরিকায় হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে আইন করা হয়। ১৯৮৭ সালে হার্বাট জিন নামের ১৭ বছর বয়সী হাইস্কুল ছাত্রকে১৯৮৬ সালের হ্যাকিং আইনে গ্রেফতার করা হয় এটিঅ্যান্ডটি ল্যাবের তথ্য চুরির অভিযোগে। ১৯৮৮ সালে Cornell University এর রবার্ট মরিস একটি ইন্টারনেট ওয়ার্ম এর সাহায্যে ৬০০০ নেটওয়ার্ককে থামিয়ে দেয় তবে তিনি খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হন এবং তার ৩ বছরের জেল সাথে ১০০০০ ডলার জরিমানা করা হয় । ১৯৯৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লসএঞ্জেলেস একটি রেডিও স্টেশন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যেখানে বলা হয় ১০২তম ফোন কারীকে তারা গাড়ি পুরস্কার দেবে। ফেভিন পলসেন রেডিও স্টেশনের টেলিফোন সিস্টেমে হ্যাক করে এমন ব্যবস্খা করেন যাতে তারফোন ছাড়া অন্য কারো ফোন যেন রিসিভ না হয়। ফলাফল তিনি ঠিকই গাড়ি জিতে নেন। কিন্তু পরে গ্রেপ্তার হয়ে খাটতে হয় ৫১ মাসের জেল। এছাড়া Kevin Poulsen, Ronald Austinand Justin Peterson এই তিনজন মিলেও ফোন লাইন সিস্টেম হ্যাক করে ২০০০০ ডলার জিতে নেয় তবে বেচারারাও পরে ধরা খায়। ১৯৯৪ সালে ১৬ বছর বয়সী Richard Pryce যাকে alias Datastream Cowboy নামে ডাকা হয় সে প্রায় ১০০ কম্পিউটারের সিকিউরিটি সিস্টেম ভেংগে ফেলে যার মধ্যে নাসা, কোরিয়ান পারমাণবিক সংস্হা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সংস্হার নেটওয়ার্ক ছিল। এছাড়া হ্যাকিং জগতে অন্যতম বড় ব্যাংক ডাকাতি করেন রাশিয়ান গণিতবিদ ভাদিমির লেভিন। তিনি নিউইয়র্কের সিটি ব্যাংক থেকে কাস্টামারদের ১০ মিলিয়ন ডলার নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি ইংল্যান্ডের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকেগ্রেফতার হন এবং তিন বছর জেল খাটেন। সব টাকাই ফেরত পাওয়া যায় তবে ৪০ লাখ ডলার পাওয়া যায়নি। পৃথিবীরসব বড় বড় হ্যাকার কারাঃ ব্লাক হ্যাকারদের মাঝে কেভিন মিটনিককে বলা হয় হ্যাকারদের গুরু ।তার হ্যাকিং বিদ্যার জন্য তাকে গ্লেন কেজ উপাধি দেওয়া হয়।এই বিখ্যাত হ্যাকিং গুরুর বিরুদ্ধেযে সব অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়েছিলো তা হল • Los Angeles এর বাস সিস্টেম হ্যাকিং করে ফ্রী ভ্রমণ। • DEC সিস্টেম হ্যাকিং যার কারনে তাদের ১৬০০০০ ডলার ক্ষতি হয়েছিলো • Motorola, NEC, Nokia, Sun Microsystems and Fujitsu Siemens সিস্টেম হ্যাকিং • এফবিআই এর সিস্টেমে হ্যাকিং এর চেষ্টা • IBM এর মাইক্রোকম্পিউটা ­ র প্রজেক্টে এ্যাটাক এছাড়াও শত শত নেটওয়ার্ক হ্যাকিংয়ের চেষ্টা ,ফ্রী কল করার হ্যাকিং ,বিভিন্ন মেইল সিস্টেম হ্যাকিং চেষ্টার শত শত অভিযোগ ছিল তবে তা প্রমাণ করা যায় নি। তাকেও জেলে পাঠানো হয়।২০০০ সালে কেভিনমুক্তি পান, তবে শর্ত ২০০৩ সালের আগে তিনি কোনো কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন না

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Blogger Tips And Tricks|Latest Tips For Bloggers Free Backlinks
f
Sign up for FREE daily Updates.