
সূর্যের দ্রুত উদয়-অস্তের রহস্য
আমাদের প্রায় সবারই সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখতে ভাল লাগে। তাহলে আপনারা নিশ্চয় দেখে থাকবেন যে সূর্য কত দ্রুত উদয় ও অস্ত যায়। কিন্তু মাথার উপর থাকলেতো সে খুব ধীরে সুস্থে, গদাই-লস্করী চালে চলে। এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন এমনটি হয়। আজকে আমরা এটা নিয়েই আলোচনা করব। তার আগে ছবিটি ডাউনলোড করে নিন, তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
আমরা জানি, সূর্য পূর্ব দিগন্তে উঠে আর পশ্চিমেঅস্ত যায়। পৃথিবী যেহেতু ২৪ ঘন্টা একবার পাক খায়,
আর্থাত্ ৩৬০ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করে।এর মানে সে প্রতি ঘন্টায় আকাশে ১৫ ডিগ্রীকোণ পার হয়। তাই যদি হয় তাহলেতো মাঝ আকাশে ও দিগন্তেও সূর্য প্রতি ঘন্টায় ১৫ ডিগ্রী পথ অতিক্রম করে। তাহলে আমরা কেন সূর্যকে দিগন্তে দ্রুত উঠতে ও অস্ত যেতে দেখি? একটা উদাহরণ দেওয়া যাক।
একটি প্লেন যখন টেক অফ করে, তখন তাকে খুব দ্রুতমনে হয়ে। আবার তা যখন আকাশে উড়ে যায় তখন তাকে খুব ধীরে উড়তে দেখা যায়। সূর্যের ক্ষেত্রেওঠিক একই ঘঠনা ঘটে।
আমাদের মাথার উপরের আকাশটা একটা মস্ত বড় অর্ধগোলক। এই গোলকের ঠিক মাঝ খানে যদি একটি স্পর্শক AB টানা হয়, তাহলে তা ভূমির সাথে সমান্তরাল হবে। এখন আমরা জানি, ভূমির সমান্তরালে কোন বস্তু চললে ভূমি ও তার দূরত্ব সর্বদা অপরিবর্তিত থাকে।
ঠিক এটাই ঘঠে। সূর্য মাঝ আকাশে বা তা থেকে কিছুটা নেমে আসলেও তা ভূমির সাথে প্রায় সমান্তরালে অবস্থান করে। তাই ভূমির সাথে সূর্যের দূরত্ব ততটা দ্রুত পাল্টায় না। আবারসূর্য যখন দিগন্তের কাছে আসে তখন তা ভূমির উপর CD লম্বে অবস্থান করে। এখন কোন বস্তুর সঞ্চার পথ যদি লম্ব হয়, তাহলে ভূমির সাথে তার দূরত্বের পরিবর্তন দ্রুত ঘটে তা আমাদের জানা আছে। তাই সূর্যে দিগন্তের কাছে আসলে তাকে খুব দ্রুত উদয় বা অস্ত যেতে দেখা যায় যদিও এক ঘন্টায় তা ১৫ ডিগ্রী পথই আতিক্রম করে। সূর্যের এই লম্বদূরত্বের পরিবর্তনের হার আকাশে তার অবস্থানের উপর নির্ভর করে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন